একটা সময় ছিল যখন কুরআন সহি করে যেন পড়তে পারি, এই আকাঙ্খায় কত চোখের পানি পরেছে, অন্তর হাহাকার করেছে। কত কেদে কেদে দুয়া করেছি। আল্লাহ আজ আমাকে কুরআনের একজন খাদেমা বানিয়েছেন অনেক রহমত এর চাঁদরে রেখেছেন।আমার সাথে যদি হতে পারে আপনিও সেই আল্লাহরই বান্দি। দুয়া করে যান। চেস্টা চালিয়ে যান। কিছুদিন আগে বাবা হারানোর কস্টে চোখ ভিজছিল বার বার। হাহাকার করছিলো। হঠাত ইউটিউবে ঢুকেছি প্রথম ভিডিও সামনে আসলো এক গভির মায়া জরানো কন্ঠে সুরা দুহা। আমি যেই শুনছিলাম আমার কলিজায় কেমন যেন এক প্রশান্তি পেলাম।যদিও আমি যা শুনছি এর অর্থ আমি বুঝিনা। বার বার মনে হচ্ছিলো কি আছে এই লাইনে কি বলা হয়েছে এই আয়াত গুলোতে যে আমি এতো শান্তি পাচ্ছি। আমি অনেকবার শুনলাম। শুনার পর কৌতুহল বশত এই সুরার অর্থ দেখলাম।
আর বুঝলাম সুরা দুহাতো অন্তরকে শান্তনা দেয়ারই সুরা।
১) শপথ পূর্বাহ্নের,
২) শপথ রাত্রির যখন তা গভীর হয়,
৩) আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেনি এবং আপনার প্রতি বিরূপও হননি।
৪) আপনার জন্যে পরকাল ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়।
৫) আপনার পালনকর্তা সত্বরই আপনাকে দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।
৬) তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।
৭) তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।
৮) তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন।
৯) সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না;
১০) সওয়ালকারীকে ধমক দেবেন না।
১১) এবং আপনার পালনকর্তার নেয়ামতের কথা প্রকাশ করুন।
এই সুরা থেকে যা বুঝি আল্লাহ আমাদের ছেড়ে দেন না।যত মুশকিল সময়ই হোক না কেন সেটা ফুরাবে। নতুন আলো আসবে। আল্লাহ আমাদের পথ দেখান।আল্লাহ কস্টের পর এমন কিছু দান করেন যা আমাদের সন্তুস্ট করবে। আল্লাহ এতিম কে আশ্রয় প্রদান করেন। আমি এই সুরার অর্থ না বুঝে তিলাওয়াত শুনেই কেদেছি, মনে হচ্ছে অন্তর থেকে প্রতিটি আয়াত কে আমি বুঝেছি। এই সুরা এতোটাই গভির প্রতিটি আয়াত। যেন আমার রব আমাকে শান্তনা দিয়েছে। আমার অন্তরে শান্তনা দেয়ার জন্য উনি আমার সামনে সুরা দুহা নিয়ে আসলেন যেন আমি শুনি আর শুধুই উনার ভালোবাসায় ডুবে যাই।
কুরআন নিশ্চয়ই শিফা।আমিতো দেখেছি আল্লাহ আমাদের কতটা সবর এর শক্তি দিয়েছেন কতোটা গুছিয়ে রেখেছেন আমাদের জীবন। সব কিছুতে আগলে রেখেছেন তার নিয়ামত আর রহমতে।আমি একা নই। আমার রব আছেন সব সময় আমার পাশে।প্রতিদিন তা দেখছি। কিভাবে আমাদেরকে আগলে রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
Ma sha Allah. Barakallah fiq