আল মুদুদ ওয়াল ক্বসর

কেন জানবো?

আরবী ৫টি হরফের সম্পর্কে জানার জন্য ( ৫টি হরফ হচ্ছেঃ আলিফ মাদ্দ, ইয়া মাদ্দ, ওয়াও মাদ্দ, ইয়া লীন, ওয়াও লীন)

প্রতিটি হরিফের যথাযথ সময় দেওয়ার জন্য।

মাদ্দের আহকাম জানার জন্য।

মাদ্দ কী?

শাব্দিক অর্থঃ বৃদ্ধি করা (নূহঃ১২) ইয়ুমদিদকুম থেকে আগত

পারিভাষিক অর্থঃ হরফের আওয়াজকে বাড়িয়ে দেওয়াকে হারফের মাদ্দ ওয়াল লীন বলে।

ঐতিহাসিক স্কলারগণের বইগুলোতে কেন মাদ্দের হুরুফকে মাদ্দি ওয়াল লীন বলা হতো?

স্বাভাবীক মাদ্দের হরফগুলো উচ্চারণ করা খুব সহজ একারণে তাকে লীন বলা হতো। লীন অর্থ সহজ।৷

আল ক্বসরঃ

স্বাভাবিকভাবে/প্রকৃতভাবে মাদ্দ না করে হরফ পড়া যায় না তাকেই আল ক্বসর বলে।

আলিফ সুকুন পূর্বে ফাতহা – আলিফের ডটার ফাতহাহ

ইয়া সুকুন পূর্বে কাসরহ – ইয়ার ডটার কাসরহ

ওয়াও সুকুন পূর্বে দম্মাহ – ওয়াও এর ডটার দম্মাহ

আলিফ, ওয়াও এবং ইয়া এর মধ্যে যে সত্তাগত মাদ্দ থাকে তাকেই আল ক্বসর বলে।

 

২ হারাকাহ মাদ্দ, স্বাভাবিক মাদ্দ।

এই মাদ্দ কোনোভাবে বাদ দেওয়া যায় না। যদি বাদ দেওয়া হয় তাহলে শব্দ পরিবর্তন হয়ে যায়৷

এর আরেক নাম মাদ্দে আসলী/মাদ্দে ত্ববায়ী

এর হক্ব হচ্ছে স্বাভাবীক মাদ্দ থেকে যেন বৃদ্ধি/হ্রাস করা না হয়।

ক্বসর থেকে মাদ্দের উৎপত্তি

ক্বসর আল জাউফ থেকে আসে।

মাদ্দ কী?

শাব্দিক অর্থঃ বৃদ্ধি করা

পারিভাষিক অর্থঃ মাদ্দের হরফ/লীনের হরফকে যখন ২ হারাকাহ এর চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়।

২ হারাকাহ এর চেয়ে বৃদ্ধি করা।

মাদ্দে আসলী/ত্ববাঈ/ ক্বসর থেকে এর উৎপত্তি

হক্ব হচ্ছে স্বাভাবীক মাদ্দ থেকে বৃদ্ধি করা।

হুরুফুল লীনঃ

ي এবং و যখন সাকিন এবং পূর্বে ফাতহাহ থাকে।

লীন আসে মাখরাজ থেকে।

মাদ্দে লীনঃ

লীনের হরফের পরে যখন ওয়াক্বফ করা হয় তখন সেটা মাদ্দে লীনে পরিণত হয়। তখন ২/৪/৬ হারাকাহ মাদ্দ করা হয়।

৩টি শর্তঃ

ওয়াও সাকিন /ইয়া সাকিন হতে হবে

এর পূর্বে ফাতহাহ থাকতে হবে।

এর পরে সাকিন করে ওয়াকফ করতে হবে।

মাদ্দের হারাকাহ এর নামঃ

২ হারাকাহ= ক্বসর

৩হারাকাহ= ফুওয়াইকুল তাওয়াসসুত

৪ হারাকাহ= তাওয়াসসুত

৫হারাকাহ = ফুওয়াইকুল তুল

৬ হারাকাহ= ইশবা/তুল

মাদ্দ দুই প্রকার

আসলী
ফারয়ী

আসলীঃ

আসলী বলা হয় কারণ এটি অরজিনাল। সকল মাদ্দের মূল।

ক্বসর বলা হয় কারণ এটি ন্যাচারাল। এক্সট্রা মাদ্দ নেই।

ত্ববাঈ বলা হয় কারণ মাদ্দ বৃদ্ধি করা যাবে না, কমানোও যাবে না।

৩টি শর্তঃ

আলিফ সুকুন এর পূর্বে ফাতহাহ ওয়াও সুকুন এর পূর্বে দম্মাহ এবং ইয়া সুকুন এর পূর্বে কাসরহ যদি থাকে

এর পরে যদি অন্য কোনো সুকুন হরফ/শাদ্দাহ না থাকে।

যদি এর পূর্বে এবং পরে হামযাহ না থাকে তখনই তাকে মাদ্দ আসলী বলে।

সময়কালঃ

২ হারাকাহ পরিমাণ ন্যাচারাল টাইম দেওয়া ওয়াজিব।

এর চেয়ে কমানো হলে গুনাহ হবে শব্দের পরিবর্তন হবে। অর্থের পরিবর্তনের আশংকা থাকে।

এর বৃদ্ধি করা এলাউড না কোনো রিওয়ায়েতে এলাউড না।

(একটা হারাকাহ পরিমাণ পড়ার সময়কে এক হারাকাহ বলে)

মাদ্দ ত্ববায়ী বা আসলী দুই প্রকার।

হারফী
হরফের মধ্যে পাওয়া যায়।

حَيٌّ طَهُرْ

কালমী
শব্দের মধ্যে পাওয়া যায়।
চারভাবে পাওয়া যায়।

 

কালমীঃ

ক. ওয়াক্বফ এবং ওয়াসল উভয় জায়গায় পাওয়া যায়।

খ. ওয়াক্বফে পাওয়া যায় ওয়াসলে পাওয়া যায় না। এটি পাঁচ ধরনের।

আলিফ/ইয়া মাকসুরাহতে থামা। যেমনঃ ه‍ُدًى, عَمًى

*দুই যবরের পর যদি আলিফ থাকে এবং এতে যদি ওয়াক্বফ করা হয় তখন ২ হারাকাহ মাদ্দ করা হয়। কিন্তু ওয়াসলে এই মাদ্দ আসে না৷ যেমনঃ عَلِيْمًا

*সাধারণত হামযাহতে দুই যবর হলে তার পরে আলিফ আসে না। তাও ২ হারাকাহ মাদ্দ করতে হবে। যেমনঃ جَزَآءً

*Noun শব্দের শেষে অথবা স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে গোল তা থাকলে সেখানে ফাতহাতাঈন থাকুক আর যাই থাকুক গোল হা সাকিন করে ওয়াক্বফ করে পড়তে হবে।

3.*সাধারণত আমরা তানউইন পাই Noun এর সাথে। কিন্তু ব্যতিক্রম দুটো ওয়ার্ড আছে কোরানে যেগুলোর শেষে তানউইন আছে কিন্তু সেগুলো verb.

Surah Yusuf:32 >> وَليَكُوْنًا

Surah Alaq:15 >> كَنَسْفَعًا

মাদ্দে ইওয়াদ করতে হবে।

4. এখানে ওয়াক্বফ করলে মাদ্দে ইওয়াদ। ওয়াসল করলে মাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। اِذًا لَّاَذقنك

5. আলিফাতুস সাব’আ

★মাদ্দ ইওয়াদঃ

যখন কোনো শব্দের শেষে থামা হয় যেখানে ফাতহাতাঈন আছে।

২ হারাকাহ পরিমাণ টানতে হয়।

এটি মাদ্দ আসলীও না মাদ্দ ফারঈও না। বাস্তবে এটি কোনো আলিফ মাদ্দ না৷ এটি তানউইন।

দারস উস্তাজা হালিমা

Balaghul Quran-بلاغ القرآن