Give a Review

Our Website Reviews

Rated 5 out of 5

আসসালামু আলাইকুম।আমি বালাগুল কুরআন এর লেভেলে-১ এর স্টুডেন্ট।২০২০ সাল থেকেই বালাগুল কুরআন কে চিনি জানি।কিন্তু ফ্রি কোর্স ছাড়া পেইড কোর্স করা হয়নি।প্রতিবছর রমাদানে উস্তাজার ফ্রি মাখরাজ কোর্সটা এত জনপ্রিয় প্রতিবারই থাকা হয় আমার।সেখান থেকেই বিস্তারিত জানার ইচ্ছে হয় আরো এবং এবছর লেভেল-১ এ ভর্তি হই।উস্তাজা মা শা আল্লাহ এত ফ্রেন্ডলি এত এত টিপস দেন আমাদের ভরসা দেন ইন্সপায়ার করেন যা স্টুডেন্ট এর জন্য অনেক সহজ করে দেয় এই পথচলা।কেউ তাজউইদে বিস্তারিত স্টাডি করতে চাইলে বালাগুল এর কথাই সবাইকে বলি এখান থেকেই পরিপূর্ণ টা লাভ করতে পারবে সে যতটুকু চাচ্ছে।উস্তাজার স্টুডেন্ট রাও এত মহব্বত করেন উস্তাজাকে এত দোয়া দেন খুবই হার্ট টাচিং।খুব ইচ্ছে বালাগুলের সাথে সব সময় থাকার খেদমতে যুক্ত হওয়ার।আল্লাহ যেন আমাদের শেষ পর্যন্ত থাকার এবং খেদমত করার সুযোগ দেন।

Toushifa Tabaasum Orchi
Rated 5 out of 5

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। দ্বীনে ফেরার পর তাজউইদ শেখার খুব একটা প্রয়োজন মনে করি নাই। প্রথম প্রথম তো তাজউইদ ক্লাসগুলো থেকে বের হয়ে যেতাম। কী দরকার ছোটবেলায় হুজুরের কাছে থেকে যে মাখরাজ, মাদ্দ, গুন্নাহ শিখেছি তা আবার শেখার, কুরআন তো আর তেলাওয়াত করতে পারছি। আলহামদুলিল্লাহ। এই ভুলটা ভাঙ্গে উস্তাজা হালিমার রমাদ্বান ২০২২ এ করা বেসিক তাজউইদ ফ্রী হালাকার ৪ নং ক্লাসে; ১ম ৩ ক্লাস করি নাই কারণ খুব একটা আগ্রহ ছিল না। ওখান থেকে বুঝি যে তাজউইদ, রিসাইটেশন কারেকশনের কত গুরুত্ব। শুধু কুরআন তেলাওয়াতেই শেষ নয়, লাহান জালি থেকে দূরে থাকতে মাখরাজ, সিফাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এরপর সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি তাজউইদ ব্যাসিক লেভেল অন্য আপুর কাছে পড়ি; কিন্তু প্র্যাকটিস ক্লাস/ প্র্যাকটিস কীভাবে করে তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এরপর আবার ঢুকি অক্টোবর এ করা উস্তাজার হালাকায়। আলহামদুলিল্লাহ; উস্তাজা এতো সুন্দর করে মাখরাজ, হুরুফ উচ্চারণের মেকানিজম বুঝিয়ে দিয়েছেন যে এর পরে হুরুফ প্র্যাকটিস করি । (এখনও ع،ق،ض, ক্বলক্বলা সুগরা হয় না) । এরপর আবার তাজউইদ শিখি ডিসেম্বরের ২২ এ আলহামদুলিল্লাহ। মার্চে কোর্স শেষ হয়। এবার ব্যাসিক তাজউইদ এপ্লাই করে আমি রমাদ্বানে কুরআন পড়েছি। এতো মজা লেগেছে। আগ্রহ ও বেড়ে গেছে, ইন্টারমিডিয়েট, এডভান্স শেখার, জানার আগ্রহ আর তেলাওয়াত এর আগ্রহ বেড়ে গেছে। এখন একদিন কোন কারণে তেলাওয়াত ছুটে গেলে মনে হয় আমি গাফেল, মন খারাপ হয়। জানি না আর কত দূর যেতে পারবো। তবে উস্তাজার সাথে লাইভে একবার মাকরায় কথা হয়েছিল; উনার কথামতো আগে আদব শিখেছি, তাজউইদ বেসিক লেভেল শিখেছি আর আগে কায়দা নূরানিয়্যাহ সম্পূর্ণ করতে পারি নাই এখন চেষ্টা চালাচ্ছি। এখন আবার কায়দা নূরানিয়্যাহ তে ভর্তি হয়েছি। দোয়া করবেন উস্তাজা যেন সামনে আগাতে পারি।।। আর একদিন যেন আপনার একাডেমির পেইড কোর্সে আসতে পারি ইনশাআল্লাহ।

সাদিয়া উজমা সিদ্দিকা । ব্যাসিক তাজউইদ
Rated 5 out of 5

আলহামদুলিল্লাহ আমি বালাগুলের একজন ছাত্রী। এখানে কয়েকটি কোর্সের সাথে আমি জড়িত। বালাগুলকে বেছে নিয়েছি কারণ অত্যন্ত গোছানো, সাজানো এবং ডিসিপ্লিনড্ একটি একাডেমী। যেখানে আপনি কুরআনকে শিখার ব্যাপারে পুরোপুরি নির্ভর করতে পারেন।
আমার ইচ্ছে হয় এখানে সবগুলো কোর্স আমি করে ফেলি। যদি আল্লাহ তৌফিক দেন তবে ইনশাআল্লাহ আস্তে আস্তে আমি এগিয়ে যাব।
এখানকার ডিরেক্টর হালিমা উস্তাজা এবং অন্যান্য উস্তাজারা আমাদেরকে সবসময়ই উৎসাহ এবং উদ্যমের সাথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছেন।
সবার জন্য মন থেকে অনেক অনেক দোয়া রইলো। ❤️🧡💙

ইফফাত জাহান সিদ্দীকা
Rated 5 out of 5

এহেম! ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩… “বালাগুল আর আমি” স্মৃতিলিখন ডায়েরি।
বালাগুল চ্যানেলে আমার জয়েন হওয়াটা কেন-কবে-কীভাবে এসব প্রশ্নের কোনো উত্তরই আমার স্মরণে নেই। তবে চ্যানেলে জয়েনের কিছুদিন পরে থেকেই চ্যানেলটা পিন করা থাকতো এবং চ্যানেলের প্রতিটা মেসেজ আমি পড়তাম। ফিতরাতগত ভাবে বরাবরই ছিলাম আমি খুব কৌতূহলী আলহামদুলিল্লাহ্, বালাগুলে এর পোস্টে যখন কিরআত, ইযাযাহ এগুলো দেখতাম আমার অনেক আগ্রহ লাগতো জানার। আমি মনে করতাম কিরআত তো হচ্ছে স্কুলে থাকতে কুরআন তিলাওয়াত করতাম তখন সেটাকে কেরাত বলা হতো তাহলে এখানে কিরআতে আবার এত ডিটেলস কি আছে! আবার রিওয়ায়াহ, শাতিবিয়াহ হেন তেন এত কিছু ও আছে! আল্লাহু আকবার, এতটুকু শুধু মন পর্যন্ত থাকতো। মেসেজ পড়ে ভাবতাম শুধু, কোথাও জিজ্ঞেস করার কেউ ছিল না আমার। পাবলিক কমেন্টে জিজ্ঞেস করতেও ভয় লাগতো। যেহেতু ছোটবেলা থেকেই “এত প্রশ্ন কেন/কোথা থেকে পান” এই রকমের বার্তা পেতাম অধিকাংশ সময়ে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই। প্রশ্ন কি মানুষ যেচে আনে? কারো তো এমনিতেই মনে উকি দিতে পারে এটা বুঝানোর সুযোগটুকু অনেকেই দিতে চাইতেন না। যাই হউক, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে বালাগুল থেকে ফ্রি কয়েকটা তাজউইদ ক্লাস হয়েছিল যতটুকু মনে পড়ে আর আমার অনেক ইচ্ছা ছিল ক্লাসগুলো করার। কিন্তু একটা ক্লাস ও আমি নানান সমস্যার কারণে করতে পারি নি। তারপর বালাগুলের ২ বছরের প্রোগ্রামে লাইভে কিছু সময় ছিলাম, পরে বের হয়ে যাই। পরে আবার প্রোগ্রামের রেকর্ড পাওয়ার জন্য ছটফট করছিলাম। ওই প্রোগ্রামের রেকর্ড কিছু সময়ের জন্য চ্যানেলে দেওয়া হয়েছিল আলহামদুলিল্লাহ্, আর সুযোগ পেয়েই আমি পুরোটা প্রোগ্রামের রেকর্ড শুনি। ওই রেকর্ডে উস্তাযার শাইখা উস্তাযার ব্যাপারে হয়তো কিছু একটা চমৎকার কথা বলেছিলেন, কথাটা আবঝা মনে থাকলেও শাইখার কথাটা শুনার পরে উস্তাযার হাসি শুনে আমার অনেক ভালো লেগেছিল। দ্বীনি কোনো ক্ষেত্রে কোনো স্টুডেন্ট আর উস্তাযার এরকম ক্লোজ আর ফ্রি সম্পর্ক আদৌ হতে পারে? এটা ভেবে ভেবে সুবহানআল্লাহ, শুধু মনে হতো এমন ও সম্ভব! দুনিয়াবি ক্ষেত্রে তো আমার ও টিচারদের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল আলহামদুলিল্লাহ্, কিন্তু তাও মনে হচ্ছিল কি একটা অভাব! আল্লাহু আকবার! ঐদিনের রেকর্ডিং প্রোগ্রামে উস্তাযা আর উনার শাইখার আলাপ শুনে আমার অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিল আলহামদুলিল্লাহ্, বারাক আল্লাহু ফিকুম। তারপর থেকে আমি আরো বেশি করে বালাগুলের পোস্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। ফেইসবুকে থাকাকালীন উস্তাযার আইডি ও আমার টাইমলাইনে বারবার আসতো। আর আমিও একদুই দিন আইডিতে ঢুকে উস্তাযার প্রোফাইল মনের মতো করে দেখছিলাম। এটা সিক্রেট, কেউ জানেন না। শুধু আমি আর আমার রব। স্মৃতি হিসেবে লিখতেই লজ্জা লাগছে এখন! তারপর চ্যানেলে উস্তাযার স্টুডেন্টদের মেসেজ পড়েও অনেক ভালোলাগতো, মনে হতো উস্তাযা যেমন উনার উস্তাযাদের সাথে ক্লোজ ঠিক তেমনি হয়তো উনার স্টুডেন্টরাও উনার সাথে ক্লোজ। এবার আরো আগ্রহ বাড়তে থাকল আমার আলহামদুলিল্লাহ্। এরই মধ্যে বালাগুলের তাহাজ্জুদ প্রোগ্রামও শুরু হলো, ওইটা ছিল খুব সম্ভবত দ্বিতীয় তাহাজ্জুদ প্রোগ্রাম। কিন্তু ফর্ম সাবমিট এর টাইমিং ম্যানেজ হচ্ছিল না যার কারণে অনেক আগ্রহ নিয়ে শুরু করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয় নি আলহামদুলিল্লাহ্। এরই মধ্যে তাহাজ্জুদ প্রোগ্রাম গ্রুপ থেকে লিভ নিতে চাচ্ছিলাম কারণ আমার সাথে ফর্ম সাবমিট এর টাইমিং না মিললে আমি থেকে কি করবো গ্রুপে এটা ভেবে। তবে লিভ নিতে গিয়ে ও লিভ না নিয়ে গ্রুপে থেকে যাই আলহামদুলিল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা আমার রবের, আর আল্লাহ তো উত্তম পরিকল্পনাকারী। উনার বান্দাদের জন্য একদমই বেস্ট বেস্ট পরিকল্পনা করেন আলহামদুলিল্লাহ্। আল্লাহু আকবার, ২০২২ এর শেষের দিকে আবার তাহাজ্জুদ প্রোগ্রাম শুরু হয়। যে প্রোগ্রামের উইনারদের জন্য পুরস্কার হিসেবে ছিল বালাগুলের ১ বছরের তাজউইদ কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রি। আগের বারের মতো এবারও আমার তাহাজ্জুদ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের খুব ইচ্ছা হচ্ছিল, এর একটাই কারণ ছিল আমার তাহাজ্জুদে নিয়মিত হওয়া, আমার অভ্যাসটা ফিরিয়ে আনা। আল্লাহর কুদরতে একজন আপুর উসিলায় আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্ তার উত্তম ব্যবস্থা করে দেন। আর আমার মনে পড়ে ওই দিনের কথা যেদিন তাহাজ্জুদ প্রোগ্রামের প্রথম দিন ছিল, আল্লাহু আকবার। ওজু পড়ে তাহাজ্জুদে দাড়াতে পারবো কিনা সেটা যখন অনিশ্চিত তার মধ্যে ওজু পড়ে সালাতে দাড়াতেই কাঁদতে কাঁদতে আমার অবস্থা! আল্লাহু আকবর, ঐ সময়ে তাহাজ্জুদ আমার কত প্রয়োজন ছিল আমি লিখে বুঝাতে পারব না, চারপাশের কঠোর অবস্থানে জীর্ণ শীর্ণ আমি! বালাগুল হলো আমার সেই সময়ের সাথী। হতাশা যখন আমাকে গ্রাস করবে ঠিক তখনই রবের অনুগ্রহ। আমি বারবার চাইলেও তাহাজ্জুদ আদায় করতে উৎসাহ পেতাম না, একটা কাফেলায় যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছিলাম আলহামদুলিল্লাহ্। ওইদিনই তাহাজ্জুদের সেজদায় আমি কাদছিলাম কেন আমি নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়তে পারি না! কেন আমি এমন আজ.. কেন! কেন! কাদতে কাদতে মনে হচ্ছিল নিজের সব অশান্তি একেবারে বের করে দিতে চাচ্ছি। আল্লাহু আকবার ওইদিন কাঁদতে কাঁদতে সেজদায় মুখ থেকে আমার বের হয়ে যায় এমন একটা বাক্য “ইয়া আল্লাহ, এই বালাগুলের শিক্ষক আমার চাই। আপনি উনাদের প্রত্যেককে কবুল করুন।” আমি ভাবি নি এই প্রোগ্রামে আমি উইনার হতে পারব কারণ অসুস্থতা, নানান চিন্তা, পরিচিত কিছু কাছের মানুষ চিনতে পারার কষ্ট, পেরেশানি আমাকে এতই দুর্বল করেছিল কিন্তু সব যেখানে অনিশ্চিত আমার রব, আমার অভিভাবক এর পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। এরই মধ্যে তাহাজ্জুদ প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার দিন আসলো, ১৭ দিন পর ফোনে ঢুকার পরে দেখি রেজাল্ট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহু আকবার, নন প্রেক্টিসিং ফ্যামিলিতে যখন অ্যাকাডেমিক কোনো কোর্স কিনতে চাইলে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করেই সহজে কিনে দেওয়া হয় সেখানে নামমাত্র দামের একটা ইসলামিক বই কিনতে গেলেই নানান কথা হাজির করানো হয় আলহামদুলিল্লাহ, সেখানে এক বছর মেয়াদী লং কোর্স আমি মাসিক ফি দিয়ে করতে পারব সেই অনুকূল পরিস্থিতি এখনও আমার তৈরি হয় নি, আর কল্পনায় তো আসেই না! আমার দয়াময় রব, আমার ভালোবাসা। তাহাজ্জুদ এর মধ্যে মুখ ফুটে বের হয়ে যাওয়া কিছু কি বিফলে যায়? বারাক আল্লাহু ফিকুম। আমার পরিবারের কেউ এখনো জানেন না আমার এই তাজউইদ জার্নি! জানানোর অনেক ইচ্ছে; কিন্তু দ্বীনের সাথে সম্পর্কিত কোনো পুরস্কার, কোনো কোর্সের কথা জানানোর তৌফিক হয় নি এখনো। লিখতে গিয়ে ও চোখে পানি আসছে। ইয়া রব! আপনি আমার আম্মু আব্বুকে, আমার পরিবার, আমার আত্মীয় স্বজনদের হেদায়াত দিন।
নিঃসন্দেহে আল্লাহ উত্তম পরিকল্পনাকারী। ডিসেম্বর ২০২২ এর ২৪ তারিখ শুরু হলো আমাদের ক্লাস। প্রথম ক্লাস থেকেই ভিন্নরকম ভালো লাগা কাজ করে। ধীরে ধীরে উস্তাযা, ক্লাস, ব্যাচমেট বোনেরা, দায়িত্বরত বড় আপুরা, সর্বোপরি আমাদের ব্যাচই আমার এত ভালোলাগার হয়ে উঠে আল্লাহু আকবার। মাত্র দেড় মাস যেতে না যেতেই মনে হয়েছে এই ব্যাচের সাথে আমার সম্পর্ক কত পুরাতন, উস্তাযা আমার কত পরিচিত, কত আগের সম্পর্ক, ব্যাচমেট বোনদের মনে হয় অনেক দিন ধরে চিনি আল্লাহু আকবার। আমার উস্তাযা, আল্লাহ্ আপনাকে নেক হায়াত দিন। উস্তাযা যখন চ্যানেলে কোনো ব্যাচকে নিয়ে কিছু বলেন, আমার ইচ্ছা জাগে কোন ব্যাচের উনারা, কোন ব্যাচের স্টুডেন্টদের উস্তাযা এরকম ভালোবাসেন! শুধু জানতে ইচ্ছা করে, মনে হয় উস্তাযা যাদের ভালোবাসেন উনাদেরকে আমিও ভালোবাসব, উনাদেরকে চিনে রাখি। আল্লাহ সবার রিযিকে বারাকাহ দিন। আমার খুব সহজে কারো প্রতি ভালোবাসা জন্মায় না, আমি ভালোবাসা প্রকাশে খুব অক্ষম, খুব বেশি ইন্ট্রোভার্ট। আল্লাহু আকবার, ওয়াল্লাহি যে আমি কেউ ভালোবাসি বললে জিজ্ঞেস করতাম “ভালোবাসা বুঝা যায় কিভাবে”। এখন আমি বুঝতে পারছি আসলেই সত্যিকার ভালোবাসাটা কি। আমি জানি না উস্তাযার প্রতি আমার ভালোবাসায় কোনো ত্রুটি আছে কিনা, কিন্তু উস্তাযার খুঁজ না পেলে, উস্তাযার মেসেজ না পেলে, উস্তাযা অসুস্থ হলে; খুঁজ না মেলা পর্যন্ত, সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি মিলে না। উস্তাযাকে অনেক বেশি মিস করি, হুটহাটই উস্তাযার কথা মনে পড়ে। আমি মিস করি একদিন উস্তাযা আমাকে ক্লাসে নাম ধরে ডেকেছিলেন, উফ! ওয়াল্লাহি! সব শিক্ষকদের কাছ থেকে নিজের নাম ধরে ডাক শুনাটা স্টুডেন্টের জন্য সূকুন হিসেবে কাজ করে। সেখানে কুরআনের শিক্ষক যদি হোন! ওই একদিনের ডাকটা অনেক বেশি মিস করি, মাঝে মাঝেই ওই ডাকটা কানে বেজে উঠে ” … আছেন? …? ” (খালি জায়গায় নাম)। আর আমি বলেছিলাম, জ্বি উস্তাযা আছি! ইয়া রব, আলহামদুলিল্লাহ্ কিন্তু ওই ডাকটা আমি মিস করি অনেক।
আমার উস্তাযাকে মিস করার সাথে সাথেই মেসেজ করতে মন চায়, কিন্তু হুটহাট ইনবক্সে মেসেজ দিতে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করে, যদি আদবের খেলাপ হয়ে যায়! যদি বেয়াদবি হয়ে যায়! যার কারণে মেসেজ করাও হয় না, গ্রুপেই জিজ্ঞেস করে জেনে নেই।
ভালোবাসি উস্তাযা…
এখন উস্তাযার সাথে লাইভ ক্লাস অফ কিছুদিন, আরো বেশি মিস করছি উস্তাযাকে। লাইভ ক্লাসের ছুটিতে উস্তাযার সাথে প্রতি স্মৃতি যাতে না ভুলি সেজন্য “বালাগুল আর আমি” নামে শুরু করেছি স্মৃতিচারণমূলক ডায়েরি লেখা।
আজকে ১৭ ফেব্রুয়ারি, উস্তাযা অসুস্থ। উমরাহ ফ্লাইট রিশিডিউল করতে হয়েছে অসুস্থতার জন্য। ইয়া রব, আমার উস্তাযাকে সুস্থতা দান করুন। উনার উমরাহ সফর আপনি সহজ করে দিন, উনাকে কবুল করুন।
আলহামদুলিল্লাহ আজকে উস্তাযার লাইভ ক্লাসে উস্তাযার কাছ থেকে অনেক গল্প শুনেছিলাম, মনে হচ্ছিল শুনেই যাই শুধু। কিন্তু কথা বলার সাহস আর হয় নি, অন্য আপুরা কি সাবলীলভাবে কথা বলেছিলেন, আর আমি! লাইভের আড়ালেই মুচকি হাসছিলাম…
আলহামদুলিল্লাহ উস্তাযা ওয়েলকাম ব্যাক। আবার ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রেগুলার ক্লাস ইয়েএএএ ইন শা আল্লাহ। কিউত…
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যদি হক আদায় করতে না পারি! আমি যদি আদব রক্ষা করতে না পারি! উস্তাযা যদি আমাকে অনেক ভালোবাসতেন! উফ..
আজকে ২৪ ফেব্রুয়ারি উস্তাযার সাথে পরিচিতির ২ মাস হলো আলহামদুলিল্লাহ। ইয়া আল মুজিব! এই উস্তাযা স্টুডেন্টের সম্পর্ক দুনিয়া ও জান্নাত পর্যন্ত কবুল করুন। এখন আড়ালে থেকেও উস্তাযার ক্লাসে মুচকি হাসি আলহামদুলিল্লাহ, উনাকে সামনে পেলে উনার সামনে বসে একটা ক্লাস.. কেমন হবে সেটা? হাত পা কাঁপতে কাঁপতে ঠান্ডায় ঘাম বের হবে? দুনিয়ায় যাই হউক, জান্নাতে কিন্তু উস্তাযার পাশে বসে মন প্রাণ জুড়ে উস্তাযার গল্প শুনব ইন শা আল্লাহ। তখন কাঁপাকাঁপি ও থাকবে না, ভয় ও না! আল্লাহ! অন্য বোনেরা ও এসব প্ল্যানিং হয়তো করে ফেলেছেন! “উস্তাযা গেটুর আয়োজন করছেন আর আমরা মারামারি লেগে যাব কে আগে যাবে? কে বেশি আদর পাবে? কে আগে জড়িয়ে ধরবে? কেউ কেউ আবার আপনারা এসব ক্রেন আর এই ফাঁকে আমি দৌড়ে চলে যাব উস্তাযার কাছে হাহা! বারাক আল্লাহু ফিকুম।”
এইভাবেই চলতে থাকলো আমাদের পথচলা। দেখতে দেখতে গুটি গুটি পেয়ে তিন মাস, চার মাস ও চললো।
প্রথমে ইতি ঘটলো আমাদের প্রাক্টিস ক্লাসের। প্রাক্টিস ক্লাসের তিনজন আপু যারা আমাদেরকে সবসময় সাহায্য করেছেন। জান্নাত আপুর কাছে আমি পড়া দিতাম, এত ভয় পেতাম.. আপুর “মা শা আল্লাহ, আল্লাহুম্মা বারিক” অনেক মনে পড়ে। নেহা আপু একজন সিরিয়াস মানুষ মনে হতো, কিন্তু ধারণা পাল্টে দিলেন আপু। অনেক মিশুক উনি। বড়াপু, আদর.. আরেকজন আপু, আমার জমজ! এক দেহ দুই প্রাণ মনে হয়। বালাগুলে যখন আমি নতুন, হাজার প্রশ্ন মুখ ফুটে ব লার আগেই এই মানুষটা বুঝে যেতেন। উনার নাম নিলাম না! আবেগ 👀 বারাক আল্লাহু ফিকুন্না। আরেকজন এডমিনের কথা না বললেই নয়, তাহিরাপু! কুটু একদম। মেসেজ দিলে মনে হয় সামনাসামনি প্রতিক্রিয়া। মনে হয় না অনলাইন এ কথা বলছেন। আল্লাহ আপুদের বারাকাহ দিন।
আমাদের প্রাক্টিস গ্রুপ ছিল সিফাতপ্রেমী, মাখরাজপ্রেমী, তিন সখিনাপ্রেমী (লাম, মীম, নুন) , আর্টশিল্পী, রন্ধনশিল্পী, বেকিং, ছন্দময়ী, ছন্দরাণী, আরবী ভাষাবিদ, বাংলা ভাষাবিদ, বিড়াল প্রেমী, দইকেকাপু, মেসেজ সিনার, লাইকাপু, লাভাপু, স্কিন কেয়ারপা, প্রফাইলদাতা আর মাখরাজ সঙ্গীদের মিলনমেলা:’) মিস করি…. আল্লাহ তাআলা আপনাদের প্রত্যেকের কল্যাণকর গুন বাড়িয়ে দিন।
একে একে ঘনিয়ে আসলো লেভেল ১ এর ইতি টানার সময়! দরজায় কড়া নাড়ল আমাদের পরীক্ষা। তাতে কি? পরীক্ষা তো আমরা দিবই ইন শা আল্লাহ। এবার আমাদের প্রয়োজন এক রকমের জামা আর এডমিট কার্ড। অনলাইন কোনো পরীক্ষায় কোথাও এডমিট কার্ড দেওয়া হয় কিনা জানি না, তবে আমাদের ব্যাচের হাত ধরে উদ্বোধন হলো “অনলাইন তাজউইদ পরীক্ষার শুভ্রতার ছোঁয়ায় স্বস্তির এডমিট কার্ড।” পরীক্ষার আগেভাগেই আমরা জুম প্রোফাইল এ এডমিট কার্ড বসিয়ে দেই। প্রথম কুরআনের পরীক্ষা, স্পেশাল! রিটেন পরীক্ষা প্রায় ৪ ঘণ্টা! জীবনের এত বছরে ৪ ঘণ্টার পরীক্ষা এটাই প্রথম। তারপর এলো ভাইভা। ভাইভা তে মানুষ ভয় পায়। আর আমরা ছিলাম সেজে গুঁজে ভাইভায় হাজির। ভাইভা বোর্ডের অন্যতম পরীক্ষক আর আমাদের ভাইভা ভিডিওতে ভয় যেখানে লাগার কথা, সেখানে পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন।
আলহামদুলিল্লাহ, এইভাবে আমাদের লেভেল ১ কমপ্লিট হল। পেয়েছি কিছু অমায়িক বোনকে, হারিয়েছি এক কোর্সে থাকা কিছু বোনকে, পেয়েও আগলে রাখতে পারি নী অনেককে, অনেকের ভালোবাসাটাও হয়তো বুঝি নী!
🔸বালাগুল এর স্টুডেন্ট হিসেবে যা না বললেই নয় –
ওয়াল্লাহি, বালাগুল এমন একটা প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে তাজউইদ উপলব্ধি করা সম্ভব। বালাগুলে আসার আগে একজন আপুর কাছে কায়দা+তাজউইদ সহীহভাবে আবার পড়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ্। আমার প্রিয় আপু ও অনেক ভালো পড়িয়েছেন, আপুর দ্বারা আমি মোটামুটি শুদ্ধভাবে পড়াগুলো শিখেছিলাম। তবে উস্তাযার থেকে শিখেছি তাজউইদে ডুব দেওয়া। শিখেছি আদব। শিখেছি সঠিক সময়ে ক্লাসে উপস্থিত থাকা। আমার গলার সুর ভাঙা ভাঙা একটু। প্রথম প্রথম যখন আমি পড়া দিতাম আমার আওয়াজ শুনা যেত না পরিষ্কারভাবে। টিপস হিসেবে পেলাম, ঠান্ডা কম খাওয়া। অথচ আইস্ক্রিম আমার এত্ত পছন্দের ” আমাকে আইস্ক্রিম আর সুগন্ধিবিহীন পুষ্প বিলাও, আমি ভালোবাসা বিলাব।” কোথাও যাব আইস্ক্রিম খাবো না এমন কম হয়! কেউ কিছু আনবে কিন্তু আইস্ক্রিম আনবে না এমন ও কম হয় আলহামদুলিল্লাহ্। সেদিনের পর থেকে ছিলাম রেস্ট্রিকশন জোনে। ক্লাসের ছুটি যখন দীর্ঘ হতো সেটা হতো আমার জন্য খুশির কারণ আমি এবার আইস্ক্রিম খাবো। দেখা যেত ছুটির ঘোষণা আসার আগেই বিকেল থেকে আমার আইস্ক্রিম খাওয়া শুরু হতো.. আলহামদুলিল্লাহ্। প্রিয় জিনিসের জন্য পছন্দের জিনিস একেবারে পরিত্যাগ না করে একটু একটু করে পাশ কাটানোর চেষ্টায়! কারণ, আমার সুর টা পর্যন্ত সেনসেটিভ। অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায়। জান্নাতে আমার একটা ইয়া বড় সুগন্ধিবিহীন ফুলের বাগান হবে আর আইস্ক্রিমের বাগান হবে। জান্নাতী ফুল আর আইস্ক্রিমের মধ্যে সেই বাগানের রাণী; দয়াময় রবের বান্দা! সুকুন ওয়ালা দৃশ্য হবে ইন শা আল্লাহ! আল্লাহ আপনাকে অনেক অনেক অনেক ভালোবাসুন উস্তাযা। ক্লাসে উস্তাযা সবসময় আদব এর কথা বলেন। আর ক্লাসের মাঝে থাকে উস্তাযার নাসিহা। উস্তাযা আমাদের প্রতি ছিলেন কেয়ারিং, ছিলেন স্নেহশীল। অমনোযোগী হলে যেমন শাসন করতেন, তেমনি ভালোবাসার ও কমতি ছিল না। উস্তাযার ভালোবাসা ও অদ্ভূত, বাইরে শক্ত ভিতরে নরম। কারো ওজর থাকলে সেটা অনায়াসে কেমন কেমন জানি মেনে নিতেন। ভাবতাম, এই মানুষটা এত অদ্ভুত কেন! সবার চিন্তা ধারার বাইরে। উস্তাযার রাগ অভিমান ও অদ্ভুত হিহি, একবার হঠাৎই গ্রুপের মেসেজ অপশন অফ করে দিয়েছিলেন। আর আমাদের চিন্তা! হায় আল্লাহ, এই গ্রুপে মেসেজ না করলে আমাদের খাওয়া হজম হয় কম এখন কি হবে!👀 বালাগুলের ক্লাসগুলো আসলেই স্পেশাল। নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। নিয়মিত হোমওয়ার্ক দেওয়া, অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া, সিনিয়র আপুদের সাথে প্রাক্টিস ক্লাস, সহপাঠী বোনদের সাথে গ্রুপ স্টাডি, টপিক শেষে কুইজ, রিটেন পরীক্ষা, ভাইভা পরীক্ষা এমনকি অ্যাটেনডেন্স পর্যন্ত গণনা করা হয় ; সবমিলিয়ে একটা ছাড়লে ফাইনালে ধরা খাওয়ার চান্স রয়ে যায়! এইখানের প্রত্যেকটা কথা মন থেকে বলা। এটা শুধু রিভিউ না, এটা এতদিনের অভিজ্ঞতার মিশ্র সঞ্চয়।
আমি এখনও অনড়। আমার মাখরাজ এ সমস্যা, তিলাওয়াতে সমস্যা আলহামদুলিল্লাহ্ আলহামদুলিল্লাহ্। নিজের মধ্যে বিনয় আর আদবের প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি অনুভব করি। প্রত্যেকের কুরআনের সাথে পাড়ি জমানো পথ মৃত্যু অবধি ইন শা আল্লাহ। এই পথের যাত্রী হিসেবে যারা আসবে সবার সাথে সম্পর্ক থাকুক আর নাই থাকুক, অন্তত কাউকে ভুলে যাওয়া সম্ভব না। দুঃখ, কষ্ট, বিপদ আর সুখের সম্মিলিত এক যাত্রা। যে যাত্রা শেষ হওয়ার নয়, যে যাত্রায় পরাজয়ের ভয় নেই। আছে রবের সন্তুষ্টি, এক হরফ উচ্চারণে দশ নেকী, বারবার ভুলেও দ্বিগুণ নেকী, কিছু অদ্ভুত মানুষের শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য একে অপরের প্রতি জমানো ভালোবাসা, আল্লাহর জন্য করা কাজের সাক্ষী হওয়া, আর গোপনে নিরবে নিভৃতে একে অপরের জন্য বেশি বেশি দুআ আর ক্ষমা!! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা অঢেল বারাকাহ দিন। যাবতীয় বদনজর, হিংসুকের হিংসা, বিদ্বেষ থেকে হেফাজত রাখুন।
জাযাকিল্লাহু খাইরন ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরহ উস্তাযা। লাবু লাবু… উস্তাযা জেনে, না জেনে, ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় কষ্ট দিয়ে থাকলে বা বেয়াদবি করে থাকলে অনুগ্রহ করে মাফ করে দিবেন। দুআতে রাখবেন উস্তাযা, আল্লাহ যেন ভালো ছাত্রী বানিয়ে দেন আমাকে।

- উস্তাযার কিউট ব্যাচ ৭ এর কিউট ছাত্রী (BG T7 103)👀🌹
Rated 5 out of 5

আসসালামু আলাইকুম
বালাগুল মানেই সবসময় নতুন কিছু। তাজবিদের জগতে বিচরণ করার অন্যতম একটা মাধ্যম বিশেষ করে জেনারেল পড়ুয়া মেয়েদের জন্য। অনেক উস্তাজা থাকলেও এখনো কেবল উস্তাজা হালিমা ইসলামের আন্ডারে তাজবিদে আছি আলহামদুলিল্লাহ। আর উস্তাজার কথা কি বলব। মা শা আল্লাহ। আল্লাহ উস্তাজাকে বারাকাহ দান করুন। উস্তাজা নিজে যেমন কোরআনকে অসীম মহব্বত করেন। চলতে চলতে প্রতিটি স্টুডেন্ট এর মাঝে সেই মহব্বতটা বিস্তার করে দেন আলহামদুলিল্লাহ। তাজবিদ শিখার প্রতি,কোরআন সহীহভাবে তেলাওয়াতে প্রতি ভালোবাসা যদিও অনেক আগে থেকেই আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু সেই ভালোবাসাকে সঠিক গাইডলাইন দিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করে দিয়েছেন উস্তাজা। কখনো আদর দিয়ে, কখনো বকা দিয়ে প্রতিটি স্টুডেন্টকে আগলে রাখেন আলহামদুলিল্লাহ। খুব অসুস্থতার জন্য এক্সাম দিতে পারিনি।উস্তাজাকে ডিটেইলস জানানোর সাথে সাথেই উস্তাজা ভিন্ন এক দিনে আবারও এক্সামের ব্যবস্থা করে দিলেন। আমার জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া আলহামদুলিল্লাহ। উস্তাজার কাছে শিখেছি উস্তাজাদের কিভাবে ভালোবাসতে হয়,সম্মান দিতে হয়। বালাগুলের ২ বছর পূরণ প্রোগ্রামে উস্তাজার শাইখাদের আগমনে উস্তাজার খুশিতে চোখে পানি চলে আসা শুনে শিখেছি কতটা আবেগের জায়গা উস্তাজারা আমাদের আলহামদুলিল্লাহ। আর পড়ার মান নিয়ে যা বলব কম হবে। জেনারেল পড়ুয়া আমাদের জন্য বেশি হাদিয়া দিয়ে বাইরের দেশের শাইখা শাইখদের কাছে পড়া সম্ভব হয়ে উঠেনা। সেখানে উস্তাজা যা শিখছেন সবই আমাদের এনে দিচ্ছেন বালাগুলে আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতিটি স্টেপ সাজানো,গুছানো মা শা আল্লাহ। কারো সুযোগ নেই এক স্টেপে গাফেলতি করে পরের স্টেপে যাওয়ার। বলতে গেলে বালাগুল প্রয়োজনে কোমল,আবার প্রয়োজনে কঠোর। যেখানে যা দরকার।
অনেক অনেক দুয়া থাকলো বালাগুলের সাথে জড়িত সবার জন্য।

Jebun Naher
Rated 5 out of 5

Alhamdulillah,Allah gives me the opportunity as students of our dearest Ustaza.we love her very much.

Syeda Mahajabeen Nabi
Rated 5 out of 5

আসসালামু আলাইকুম আমি রামাদানের ফ্রী ব্যাচ এ ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ । অনেক উপকৃত হয়েছি।উস্তাযার
দীর্ঘ সময় দিয়ে পড়ানো; সহজভাবে বলা ; বুঝানো ইত্যাদি আরো অনেক উপর আলহামদুলিল্লাহ।
সবার প্রশনের উত্তর দেওয়া। আলহাম দুলিল্লাহ।
একই ক্লাস রিপিট করে পারানো আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহ উস্তাযাকে & বালাগুল কুরআন প্রতিষ্ঠানকে
সকলকে অনেক অনেক বারাকাহ দান করুক আমিন।আমাদের সবাইকে দীনের পথে কবুল করুক আমিন।আমাকে আপনাদের সাথে দীনিইলমের সাথে থাকার তউফিক দান করুক
আমিন♥️♥️♥️♥️♥️♥️

tanjina akter
Rated 5 out of 5

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
আমার সব সময় ইচ্ছে ছিলো যে, আমি কোথাও না যেয়ে বাসায় অনলাইনে যদি কুরাআন শিখতে পারি!
তো বান্দা তার দিকে এক বিঘত আগালে, আল্লাহ তার দিকে এক হাত বাড়ায়, আর বান্দা আল্লাহর দিকে হেটে আসলে, আল্লাহ তার দিকে দৌড়ে যায়। ঠিক তেমনটাই আমার সাথে হয়েছে। আমি অবশেষে জখন রমযান মাসে আল্লাহ তৌফিক দেন উস্তাজার ফ্রী কোর্স করার সৌভাগ্য অর্জন করি। তার পর থেকেই আমি অপেক্ষা করছিলাম যে, লেভেল-১ কবে আসবে। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমার সপ্ন পুরন করেছে।
উস্তাজার পরা বুঝানোর কৌশল, উস্তাজার আন্তরিকতা, উস্তাজার প্রতিটা পরার বেসিক ইন্সট্রাকশন সব কিছুই আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ যে আল্লাহ আমাকে বালগুলপর সাথে পথ চলার তৌফিক দেন।
আলহামদুলিল্লাহ যদিও আমার কোর্স কমপ্লিট হয়নি, কিন্তুু আমি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে সব সময় থাকতে চাই ইন শা আল্লা-হ।

Israt Jahan Tasnim T8 21
Rated 5 out of 5

সন্মানিত উস্তাজা আল্লাহর তরফ থেকে পাওয়া আমার জন্য অনেক বড় নিয়ামত,আলহামদুলিল্লাহ।
আমি যখন প্রথম বুঝতে পারি আমার কুরআ’ন সঠিক ভাবে শিখতে হবে তখন ব্যকুল ভাবে একজন যোগ্য শিক্ষিকা খুঁজতেছিলাম।আল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়া তে একদিন উস্তাজার পরিচয় জানিয়ে দিলেন।
উস্তাজা তার প্ল্যাটফর্ম Balaghul Quran এ অ্যাড করলেন।
কিন্তু আমার আলসেমি ও নানা সমস্যায় অনেক দিন ক্লাস করতে পারি নি। পরে আবার সংযুক্ত হলাম এই প্লাটফর্ম এর সাথে, আলহামদুলিল্লাহ।
এরপরও ক্লাস করতে পারিনি।এর মাঝে অন্য জায়গায় ও শিখতে গেছিলাম কিন্তু উস্তাজার পড়ানোতে যে সুকুন পেয়েছি তা আর কোথাও পাইনি।
আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছি আমি যাতে সন্মানিত উস্তাজার কাছে কুরআ’ন শিখতে পারি।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে আবার সেই সুযোগ দান করেছেন।উস্তাজা পরম মমতা ও ধৈর্যের সাথে আমাকে আবারও কুরআ’ন এর শিক্ষা দিচ্ছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
সন্মানিত উস্তাজার পড়ানোর পদ্ধতি আমার অনেক ভালো লাগে,আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ উনাকে দিয়ে এত সুন্দর করে আমাদের পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন, সুবহানল্লাহি ওয়া বিহামদিহ।
আমরা কেউ সঠিক ভাবে তিলাওয়াহ করতে না পারলে বকা না দিয়ে সুন্দর করে বুঝান, সুবহানআল্লাহ।আল্লাহর দেওয়া কুরআ’ন এর আদব অনুযায়ী ই আমাদেরকে শুধরে দেন,আলহামদুলিল্লাহ।
সব সময় আল্লাহ উস্তাজা কে বলান আপনি পারবেন, যা আমাকে কুরআ’ন এর সাথে লেগে থাকতে অনেক বেশী অনুপ্রাণিত করে,আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের সকল ত্বলিবাতুল কুরআ’ন ও সন্মানিত উস্তাজাকে আমাদের আখরি সময় পর্যন্ত কুরআ’ন অনুযায়ী জীবন যাপন করার তাওফিক দান করুন।আল্লাহুমা আমীন।
আমার কাছে কুরআ’ন ক্লাসে সবচেয়ে আনন্দদায়ক বিষয় হলো, উস্তাযা আমার কৃত ভুল শুধরে দিয়ে আমাকে সঠিক মাশওয়ারা দিবেন সেটা হোক তাজউইদে কিংবা আখলাকে কিংবা অন্য কোন দিকে।
এই ব্যাপারটা আমি অনেক পছন্দ করি। এজন্য দারসে উপস্থিত হতে না পারলে অনেক খারাপ লাগে। একটা দারসে নেই মানে সংশোধনের পথে পিছিয়ে যাওয়া।
আল্লাহ হিফাযত করেন এমন ব্যস্ততা থেকে যা আমার সংশোধনের পথে বাধা হবে,আল্লাহুমা আমীন।
আল্লাহতা’আলা প্রত্যেক কুরআ’ন সাথীদের উপর রহমত বর্ষন করুন।আল্লাহ আমাদের সকল ত্বলিবুল কুরআ’ন দের কে ও সন্মানিত উস্তাজাকে জান্নাতের মাজলিসে কবুল করে নিন,আল্লাহুমা আমিন।
সিনিয়র আপুদের জন্য অপরিসীম ভালোবাসা ও দোয়া রইল….!
জুনিয়র আপুদের ও সামনে আগানোর জন্য দোয়া রইল.

Mariyam Binte Masud
Rated 5 out of 5

Alhamdulillah tajweed er shuru amar Balaghul Quran Academy diyei…Ustazar kache pora amar mote allah ta alar pokhho theke bishesh niyamah..jar kotha r tilawat shunle sukun feel hoy alhamdulillah ma sha alloh barokallohu fiha…(Allah ta ala ustaza k shokol bodnojor theke shobshomoy hifazot e rakhuk ameen)
Makhraj er eto details r eto organised lecture provide kora hoy alhamdulillah alhamdulillah…r balaghul e eshe class korbe kintu notes korbona emon impossible(notes mandatory) kintu dinsheshe amader e upokar hoy notes dara alhamdulillah…ami age kokhono sifat porini alhamdulillah prothom bar er moto porechi monei hoyni eto vhalo legeche alhamdulillah dindin tajweed r quran er proti vhala laga barche Alhamdulillah…shekhar agroho barche..
Tai j Quran k vhalobashte shikhte chan ekhane admit hoye jan…shotti bolchi jokhon tajweed porben tilawat kortei alada moja lagbe ing sha alloh…allah ta ala ustazar kaaj k kobul koruk r onek barakah daan koruk ameen..
Apni ki Tajweed er shagore dub dite chaan?
Tahole Balaghul Quran Academyr poribare apnake ahlan wa sahlan🌼

Student of Balaghul Quran Academy