তোমরা আল্লাহকে ডাক, আল্লাহ সাড়া দিবেন

বেশ কয়েক বছর আগে রাবেয়া বাসরির জীবনি পরেছিলাম।এর মাঝে একটি ঘটনা উল্লেখ ছিল, উনি সারাদিন ইবাদতে এত মগ্ন থাকতেন খাবার রান্না করে যে খাবেন, সময় দিবেন, সে সময় হতোনা।একদিন তার বাসায় মেহমান হয়ে আসে আল্লাহ এর ইবাদতগোজার বান্দা।


এখন মেহমান এসেছে কি খাবার দিবে।কিছুই রান্না নেই।তেমন কিছু নেই ও রান্নার মত।যা ছিল কোনমত একটি খাবার চুলায় দিয়ে তৈরি করে।
যখন খাবার মুখে দিল, মেহমান বলে উঠে আজ পর্যন্ত এতো স্বাদের কিছু খায়নি। দুই জনেই অবাক কোনমত সিদ্ধ খাবার এর স্বাদ এতো অতুলনীয়।
আসলে আল্লাহর জন্য জীবন বিলিয়ে দিলে আল্লাহ প্রত্যেক কাজ বরকত রহমতে পরিনত করে দেয়। তুমি আল্লাহর হয়ে যাও,পুরো দুনিয়া তোমার হয়ে যাবে।আল্লাহ সব কিছু সহজ করে দিবেন

কিছুদিন আগে আমার মা বাসায় ছিলনা।আমি যেহেতু ঘুম থেকে উঠেই আমার ক্লাস করা শুরু করি। ১২টা বেজে যায়। নাস্তা করা হয়নি। আমার হাতে সময়ও নেই আমি কিছু রান্না করব।৩০ মিনিটের ব্রেক ছিল। জীবনেও আমি এই রেসেপি রান্না করিনি।
মনে যা আসছে সুপ এর প্যাকেট পানিতে দিয়ে একটা ডিম ফেটে ইন্সট্যা্নট সুপ করি। সাথে নুডুলস সিদ্ধ করে সুপ এ দিয়ে দেই।


নিজেই ভয় পাচ্ছিলাম কি রান্না করলাম, খেতে পারবত। ১০/১২ মিনিট লেগেছিল রান্না করতে। আর যখন খেলাম সতি এতো স্বাদএর সুপ আমি কখনো খায়নি। এক চামচ ও আর বাটিতে রাখিনি এতো টেস্ট হয়েছিল।আমি নিজেই অবাক।মন থেকে ফিল হচ্ছিল এই খাবারে বরকত ছিল। আর সাথে সাথে আমার মাথায় কিছু বছর আগে পড়া সেই ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়।
তখন নিজের প্রতি এতো গিলটি ফিল হচ্ছিল,আমরা এক কদম আল্লাহর পথে আগালে আগালে ১০ কদম এগিয়ে আসে, সব সহজ করে দেয়,আর সেই আমরা রবের স্মরনে গাফেল।


মাঝে মাঝে কান্না পায়, এই গাফেল এর জীবন এ এতো নিয়ামত, যারা আল্লাহ এর আরও ইবাদত এ নিজেকে নিবেদিত করেছে, আল্লাহ তাদের জীবন কত নিয়ামত পূর্ণ করেছেন!!!!
“””তোমরা আল্লাহকে ডাক, আল্লাহ সাড়া দিবেন। “””